জন্ম ও বংশ পরিচয়
মার্কো পোলোর গল্প বলতে গেলে শুধু মার্কো পোলোর কথা বললে হবে না, তাঁর গৌরবময় ভ্রমণ কাহিনির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে আরও দুটি নাম। মার্কো পোলোর পর্যটক হবার বিষয়টি অনেকটাই বংশগত। তাঁর বাবা নিক্কলো পোলো এবং চাচা মাত্তেও (মতান্তরে মাফেও) পোলো ছিলেন বিখ্যাত পর্যটক এবং ব্যাবসায়ি। মার্কো পোলোর শিশুকালেই তারা দুইজন এশিয়া ভ্রমণ করেন এবং বিখ্যাত মঙ্গলিয়ান সম্রাট কুবলাই খান এর সাথে দেখাও করেন। সেই হিসেবে মার্কো পোলো প্রথম ইউরপিয় নন যিনি সুদুর এশিয়া ভ্রমণ করেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে মার্কো পোলোর এত খ্যাতির রহস্য কি? এর উত্তর পেতে হলে তাঁর ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে হবে। মার্কো পোলোর সাথে আমাদেরও হয়ে উঠতে হবে ত্রয়োদশ শতাব্দির অদম্য পর্যটক, যারা অজানাকে জানার জন্যও যেকোন ঝুকি নিতেও প্রস্তুত ছিলেন।
মার্কো পোলোর ছেলে বেলা সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তাঁর বাবা যখন ভ্রমনে ছিলেন, তখন তাঁর জন্ম হয়। জন্মের কিছুকাল পরেই তাঁর মা মারা যায় এবং চাচা চাচির কাছে তিনি মানুষ হন। তাঁরা তাঁকে ব্যাবসায়ি এবং পর্যটক হবার জন্যও প্রয়োজনীয় সব শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। ফলে অতি অল্পসময়ের মধ্যেই মার্কো বৈদেশিক বানিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রা, ভূগোল এবং জাহাজ চালনার মত বিষয় গুলোতে দক্ষতা অর্জন করেন।
ভ্রমণ ও উদ্দেশ্য
১২৬৯ সালে মার্কো পোলোর বাবা এবং চাচা ভেনিস প্রত্যাবর্তন করেন। ১৫ বছর বয়সী মার্কো সেটাই ছিল বাবার সাথে প্রথম সাক্ষাৎ। এর দুই বছর পর ১২৭১ সালে বাবা এবং চাচার সাথে ১৭ বছর বয়সী মার্কো বেরিয়ে পরেন এক দুঃসাহসী অভিযানে। এই অভিযানের বর্ণনা পরবর্তীতে মার্কোর লেখায় চমৎকার ভাবে ফুটে ওঠে।
নিক্কলো পোলো এবং চাচা মাত্তেও পোলো এই অভিযানটি শুরু করেন মুলত কুবলাই খানের একটি অনুরোধ রাখতে গিয়ে। মঙ্গোলীয় সম্রাট কুবলাই খান এর আগে নিক্কলো এবং মাত্তেও কে অনুরোধ করেন একটি দুষ্প্রাপ্য বস্তু তাঁকে এনে দেয়ার জন্য। সেটি হল ‘ক্রিজম’ বা জেরুজালেমের পবিত্র তেল। খ্রিস্টান ধর্মে এই তেল কে অনেক পবিত্র, দুস্প্রাপ্য এবং মর্যাদা সম্পন্ন হিসেবে দেখা হত। এই তেল সংগ্রহ পোলোদের অভিযানের মুল উদেশ্য হলেও একমাত্র নয়। ভ্রমণ এবং অভিযানপ্রিয় পোলোদের উদেশ্য ছিল যতটা সম্ভব এশিয়া এবং আসে পাশের এলাকা গুলো ঘুরে দেখা এবং সেই সাথে কিছু বাণিজ্যও করা।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
মার্কো পোলোর গল্প বলতে গেলে শুধু মার্কো পোলোর কথা বললে হবে না, তাঁর গৌরবময় ভ্রমণ কাহিনির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে আরও দুটি নাম। মার্কো পোলোর পর্যটক হবার বিষয়টি অনেকটাই বংশগত। তাঁর বাবা নিক্কলো পোলো এবং চাচা মাত্তেও (মতান্তরে মাফেও) পোলো ছিলেন বিখ্যাত পর্যটক এবং ব্যাবসায়ি। মার্কো পোলোর শিশুকালেই তারা দুইজন এশিয়া ভ্রমণ করেন এবং বিখ্যাত মঙ্গলিয়ান সম্রাট কুবলাই খান এর সাথে দেখাও করেন। সেই হিসেবে মার্কো পোলো প্রথম ইউরপিয় নন যিনি সুদুর এশিয়া ভ্রমণ করেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে মার্কো পোলোর এত খ্যাতির রহস্য কি? এর উত্তর পেতে হলে তাঁর ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে হবে। মার্কো পোলোর সাথে আমাদেরও হয়ে উঠতে হবে ত্রয়োদশ শতাব্দির অদম্য পর্যটক, যারা অজানাকে জানার জন্যও যেকোন ঝুকি নিতেও প্রস্তুত ছিলেন।
মার্কো পোলোর ছেলে বেলা সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তাঁর বাবা যখন ভ্রমনে ছিলেন, তখন তাঁর জন্ম হয়। জন্মের কিছুকাল পরেই তাঁর মা মারা যায় এবং চাচা চাচির কাছে তিনি মানুষ হন। তাঁরা তাঁকে ব্যাবসায়ি এবং পর্যটক হবার জন্যও প্রয়োজনীয় সব শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। ফলে অতি অল্পসময়ের মধ্যেই মার্কো বৈদেশিক বানিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রা, ভূগোল এবং জাহাজ চালনার মত বিষয় গুলোতে দক্ষতা অর্জন করেন।
ভ্রমণ ও উদ্দেশ্য
১২৬৯ সালে মার্কো পোলোর বাবা এবং চাচা ভেনিস প্রত্যাবর্তন করেন। ১৫ বছর বয়সী মার্কো সেটাই ছিল বাবার সাথে প্রথম সাক্ষাৎ। এর দুই বছর পর ১২৭১ সালে বাবা এবং চাচার সাথে ১৭ বছর বয়সী মার্কো বেরিয়ে পরেন এক দুঃসাহসী অভিযানে। এই অভিযানের বর্ণনা পরবর্তীতে মার্কোর লেখায় চমৎকার ভাবে ফুটে ওঠে।
নিক্কলো পোলো এবং চাচা মাত্তেও পোলো এই অভিযানটি শুরু করেন মুলত কুবলাই খানের একটি অনুরোধ রাখতে গিয়ে। মঙ্গোলীয় সম্রাট কুবলাই খান এর আগে নিক্কলো এবং মাত্তেও কে অনুরোধ করেন একটি দুষ্প্রাপ্য বস্তু তাঁকে এনে দেয়ার জন্য। সেটি হল ‘ক্রিজম’ বা জেরুজালেমের পবিত্র তেল। খ্রিস্টান ধর্মে এই তেল কে অনেক পবিত্র, দুস্প্রাপ্য এবং মর্যাদা সম্পন্ন হিসেবে দেখা হত। এই তেল সংগ্রহ পোলোদের অভিযানের মুল উদেশ্য হলেও একমাত্র নয়। ভ্রমণ এবং অভিযানপ্রিয় পোলোদের উদেশ্য ছিল যতটা সম্ভব এশিয়া এবং আসে পাশের এলাকা গুলো ঘুরে দেখা এবং সেই সাথে কিছু বাণিজ্যও করা।